ফের জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা, সম্পাদক প্রণতি বিকাশ - Southeast Asia Journal

ফের জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা, সম্পাদক প্রণতি বিকাশ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে পুনরায় সভাপতি পদে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লামরা), সহ-সভাপতি পদে ঊষাতন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পদে প্রণতি বিকাশ চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শক্তিপদ ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহসম্পাদক সজীব চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ থেকে দুই দিনব্যাপী রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা, থানা ও ইউনিয়ন শাখাসহ সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম ও গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠীর সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক অংশ নেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্মেলনে বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি সামগ্রিক প্রতিবেদন পেশ করা হয়। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনসহ জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিপন্থী ও জুম্ম স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ, পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা, পার্টির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার ওপর আলোচনা হয়। সম্মেলনে প্রতিনিধিরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনরায় আসার পরও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়া এবং এতে করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, সরকার একদিকে যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে তালবাহানা করছে। অন্যদিকে চুক্তি বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে চুক্তি পরিপন্থী ও জুম্ম স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করে চলেছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুম্ম জনগণকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা এবং অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করা হচ্ছে।

সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ১৮ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করা, তিন পার্বত্য জেলাপরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের জন্য সরকারের নিকট অব্যাহত তাগাদা রাখাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুদের স্ব স্ব জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ পূর্বক যথাযথ পুনর্বাসন, তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় পুলিশ বাহিনী গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি।