দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট, ক্রমাগত বাড়ছে নানামূখী চ্যালেঞ্জ - Southeast Asia Journal

দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট, ক্রমাগত বাড়ছে নানামূখী চ্যালেঞ্জ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সেবায় আর্থিক সাহায্য এবং তাদের সংকট সমাধানে রাজনৈতিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে।

ছয় বছর আগে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এর সঙ্গে ছিল আগে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।

জাতিসংঘ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের মানবিক পরিস্থিতি যখন খারাপ হচ্ছে, তখন এই দীর্ঘায়িত সংকটকে ঘিরে চ্যালেঞ্জগুলো ক্রমাগত বাড়ছে।

তহবিলের তীব্র স্বল্পতার কারণে মানবিক সংস্থাগুলো শুধু অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জীবন রক্ষাকারী চাহিদা মেটানোর ওপর নজর দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রথমবারের মতো শরণার্থীদের খাদ্য সহায়তার ওপর এটি প্রভাব ফেলেছে, যার ফলস্বরূপ ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার মতো করুণ পরিণতির উদ্ভব ঘটছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের সামর্থ্য ও প্রত্যয় দিয়ে পুরো মানবিক কর্মকাণ্ডে অপরিহার্য অবদান রাখছে। রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের কল্যাণেও কাজ করা হচ্ছে।

এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান মিয়ানমারে একটি মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সবসময়ই বলেন, নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি হলেই তারা মিয়ানমারে যেতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি সম্ভব করার জন্য নতুন করে প্রচেষ্টা নিতে হবে। যেহেতু জাতিসংঘ টেকসই প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত, তাই ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদারদের প্রয়োজন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরবচ্ছিন্ন, অর্থবহ ও অনুমানযোগ্য প্রবেশাধিকার। যেন সেখানে প্রত্যাবাসনে সহায়তা ও পর্যবেক্ষণ করা যায়।

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দৃঢ় মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। তাই এর বিনিময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের কল্যাণে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে এবং এই দায়িত্বের ভাগ নিতে হবে। এ বছরের ডিসেম্বরে জেনেভাতে আসন্ন গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য সকল অংশীদারদের ইউএনএইচসিআর আহ্বান জানায়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিসহ প্রায় ১.৪৭ মিলিয়ন মানুষকে সহায়তা করতে মানবিক সংস্থাগুলো এ বছর ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে। তথাপি, ২০২৩ সালের আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত, যৌথ কর্মপরিকল্পনা (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান)-এর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ২৮.৯ শতাংশ পাওয়া গেছে। যা একটি বৃহত্তর মানবিক সংকট রোধে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পূর্বাভাসযোগ্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে হতাশাজনকভাবে তুলে ধরে।

You may have missed