রোহিঙ্গাঃ প্রত্যাবাসনে চাই রোডম্যাপ - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গাঃ প্রত্যাবাসনে চাই রোডম্যাপ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

এম এ হালিম

১৯৯১-৯২ সালে আড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

তবে দুই বছরের মধ্যে তাদের অধিকাংশ প্রত্যাবাসন করে, যদিও নাগরিকত্ব ও অন্যান্য জটিলতায় ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা দুটি ক্যাম্পে থেকে যায়। এদিকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও নিপীড়িত হয়ে স্বল্প পরিসরে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে।

এরই একপর্যায়ে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সরকারের আহ্বানে জাতিসংঘের সাবেক (১৯৯৭-২০০৬) মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে নয় সদস্যবিশিষ্ট কমিশন (Advisory Commission on Rakhine State) গঠন করা হয়, যে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ছয়জন মিয়ানমারের ও তিনজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। কমিশনের কার্যক্রম চলাকালীন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন জোরদার করে, যা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ভয়াবহ রূপ নেয়। এদিকে কমিশন ২৩ আগস্ট রিপোর্ট দাখিল করে।

এতে রোহিঙ্গাদের মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, ১৯৮২ সালের জটিল নাগরিকত্ব আইন ইত্যাদি উল্লেখ করে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনসহ কিছু সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন দূরের কথা, রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। উল্লেখ্য, ১৯৯১-৯২ সাল থেকে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার শরণার্থীর মর্যাদা দিলেও ২০১৬-১৭ সালে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক’ (এফডিএমএন) হিসাবে অভিহিত করে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রতিনিয়তই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে; কারণ, প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থিত ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করা পুরোনো (১৯৯১-৯২), নতুন (২০১৬-১৭) আগত এবং প্রতিবছর ৩ শতাংশ হারে প্রায় ৩০ হাজার নতুন জন্ম মিলে রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ লাখ ৬১ হাজার ৭২৯-এ, যার ৫২ শতাংশই শিশু। অবশ্য কয়েকটি সূত্রে রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার অধিকতর উন্নত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার থাকার জন্য ১২০টি ক্লাস্টার (১৪৪০টি ঘর) নির্মাণ করেছে। ডিসেম্বর ২০২০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৮৩২ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভাসানচর পরিদর্শন করে দেখেছি, সেখানে পরিকল্পিত অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃসুবিধা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিশুদের খেলার মাঠ ও বিনোদনকেন্দ্র, মসজিদ, সুপার শপ, জীবিকায়নের জন্য পুকুর ও কৃষিজমিসহ মানসম্মত সব সুবিধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘ ও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রথমে ভাসানচরে সহযোগিতার বিষয়ে সাড়া দেয়নি। তবে কয়েক দফা পরিদর্শন শেষে ২০২১ সালে জাতিসংঘ সেখানে মানবিক সহযোগিতা প্রদানে সম্মত হয় এবং সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

তথাপি ভৌগোলিক কারণে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভাসানচরে অবকাঠামো নির্মাণের প্রায় তিন বছরে পরিকল্পনার অর্ধেকও রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা যায়নি। বরং ভাসানচর থেকে প্রায়ই রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায় বলে খবর রয়েছে। ভাসানচর ও কক্সবাজার থেকে পালিয়ে অনেকেই অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। কারণ, তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট বহন করায় বাংলাদেশি হিসাবেই পরিচয় দিচ্ছে।

এদিকে চলতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা তহবিল সংকট দেখা দিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছর জয়েন্ট রেসপন্স প্লানের (জেআরপি) আওতায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের জন্য ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের আবেদন করা হয়, বিপরীতে ২৮.৯ শতাংশ তহবিলের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। তহবিল সংকট বিবেচনায় গত ১ জুন জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ এক বছরে দ্বিতীয় দফা কমিয়ে ৮ ডলার করেছে।

উল্লেখ্য, এ প্রলম্বিত মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, ক্রমাগত তহবিল সংকট এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে ২০২২ সালে জাতিসংঘ আন্তঃসেক্টর সমন্বয় গ্রুপ (আইএসসিজি) কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাম্পে বিভিন্ন সংস্থার চলমান সেবার মান ও যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করা হয়। একইভাবে অন্যান্য সংস্থাও তাদের নিজস্ব তহবিল প্রাপ্যতা বিবেচনায় যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করছে। বর্তমানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অংশীদাররাও একই মূল্যায়ন পরিচালনা করছে বলে জানা যায়।

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুই বছর (নভেম্বর ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২২) দায়িত্ব পালন করার সুযোগে আমার পর্যবেক্ষণ হলো-দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থানের কারণে পরিবেশ ও স্থানীয় আর্থ-সামাজিক পরিবেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অবাধে বনভূমি উজাড়, দুই লক্ষাধিক পরিবারের ময়লা-আবর্জনা ও প্রতিদিনকার পয়ঃবর্জ্য, অপরিকল্পিত গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উদ্বেগজনকভাবে নেমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা চরম আকার ধারণ করছে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই স্থানীয় শ্রমবাজারে মিশে যাওয়ায় স্থানীয়দের জীবিকায়নে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা মিলে চোরাকারবারিতে জড়াচ্ছে এবং প্রায়ই স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও একাধিক বিবাহপ্রবণতা খুবই বেশি, যা ক্যাম্পের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করছে। কক্সবাজারে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যাবাসন বিষয়ে তাদের মিশ্র মনোভাবই জেনেছি। তারা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্যাম্পের ছোটঘর (শেল্টার) ও তারকাঁটা ঘেরা নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে থাকতে চায় না। বিশেষত সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, ওরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায় না।

রোহিঙ্গা সংকট ৬ বছর অতিক্রম করলেও প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘসহ কোনো পক্ষই কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং যখনই প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গ আসে, তখনই বিভিন্ন পক্ষ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়; যেমন-স্বেচ্ছামূলক, সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন। অথচ বাংলাদেশের পক্ষে বিপুল রোহিঙ্গার চাপ অনির্দিষ্টকাল বহন করা সম্ভব নয়। ২০১৬-১৭ সালে সরকার মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও তাদের প্রত্যাবাসনে কার্যত আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিকভাবে কোনোই উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সচিব পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) সভাও হয় না নিয়মিত। সরকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হলেও দৃশ্যমান কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না, বরং এখনো আশ্বাসের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকছে। এ বছর কয়েক দফায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ওআইসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যাবাসন বিষয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থা ও আগ্রহ বাড়াতে গত ৫ মে ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের টিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু সফর করেন। তারা মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রাম ও ট্রানজিট সেন্টার ঘুরে দেখেন এবং সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

সেখান থেকে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কথা জানা যায়, যা প্রত্যাবাসন প্রত্যাশী সবাইকে হতাশ করেছে। প্রত্যাবাসন বিষয়ে বড় সমস্যা হলো মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে চায় না। সুতরাং, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেও দশ লক্ষাধিক শরণার্থীর নাগরিকত্ব প্রমাণ করা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, তারা এমন এক পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিল, যখন নাগরিকত্ব দলিল তাদের সঙ্গে আনার সুযোগই ছিল না। এ প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বুধবার এক অনুষ্ঠান শেষে বলেছেন-পরীক্ষামূলকভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা দেওয়া উচিত নয়।

এ সপ্তাহে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউমান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ও মিয়ানমারের উভয় পাশে থাকা রোহিঙ্গারা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়ে আছে। তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। প্রতিষ্ঠানটির এশীয় অঞ্চলের গবেষক সায়না বচনার বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তা এবং ত্রাণ কমিয়ে দেওয়ার ফলে রোহিঙ্গারা আরও জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। মিয়ানমারে অবস্থিত অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও তারা অমানবিক আচরণ করছে। এমনকি ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে দিচ্ছে না।

তবে প্রত্যাবাসন বিষয়ে চীন কিছুটা আশা জাগাচ্ছে। সম্প্রতি চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত দেং শি জুন দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনা শেষে পরীক্ষামূলকভাবে ১১৭৬ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া খুব শিগগির শুরু করা হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চীনের বিশেষ দূত বাংলাদেশে আসার আগে মিয়ানমার সফর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি আশাব্যঞ্জক হলেও কতদিনে সমগ্র প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা অনিশ্চিতই বলা যায়।

তাই বাংলাদেশকেই এ সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে অ্যাডভোকেসি অব্যাহত রাখতে হবে। আসিয়ানের সঙ্গেও অ্যাডভোকেসি বৃদ্ধি প্রয়োজন। বাংলাদেশের সুহৃদ হিসাবে চীনের উদ্যোগকে চলমান রাখতে হবে। এ ছাড়া চীন-ভারত সম্পর্ক বৈরী হলেও মিয়ানমার বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থান অনেকটাই অভিন্ন। আবার উভয় দেশই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী।

তাই প্রত্যাবাসন বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন বিষয়ে এখনই একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যা প্রত্যাবাসন বিষয়ে সব পক্ষের জন্য একটি নির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে।

এম এ হালিম : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক, দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনা বিভাগ
halim_64@hotmail.com