হাসিমুখে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে সেবা দিতে হবে: সচিব

নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে হাসিমুখে সেবা দিতে হবে। সেলসম্যান যেভাবে হাসিমুখে ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করে থাকেন, ঠিক একইভাবে হাসিমুখে জনসেবা প্রদান করতে হবে সবাইকে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী সরকারি বিভিন্ন দফতরে যোগদান করা ১২ জন প্রশিক্ষণার্থীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে জনসেবা প্রদানের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতার কোনো একটির ঘাটতি হলেই তা হবে অসম্পূর্ণ। কোনোভাবেই তাকে প্রকৃত সেবা প্রদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর স্মরণ করিয়ে দিয়ে সচিব মশিউর রহমান বলেন, ১৭ কোটি জনগণের টাকায় রাষ্ট্র চলে। কাজেই একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও সেবক হিসেবে সবাইকে দায়বদ্ধতার মধ্যে থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্য ১০টি মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিবেশের মতো নয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করে থাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রশিক্ষণার্থীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো, কার্যাবলী ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেন পার্বত্য সচিব মো. মশিউর রহমান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলেয়া আক্তার ও উপসচিব সজল কান্তি বনিক।
অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, উপসচিব মালেকা পারভীন, উপসচিব মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সচিবের একান্ত সচিব মো. শফিকুর আলম, ১২ জন প্রশিক্ষণার্থী, লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী, সুপারভাইজিং কর্মমর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাস মেয়াদি ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৬০২ জন নবীন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গ্রুপভিত্তিক প্রশিক্ষণার্থীদের দু’দিনব্যাপী সংযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সিডিউল তৈরি করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩০ ও ৩১ আগস্ট ১২ জন নবীন প্রশিক্ষণার্থীর এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।