পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বিঘ্নিত হলে ভারতও অশান্ত হবে - Southeast Asia Journal

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বিঘ্নিত হলে ভারতও অশান্ত হবে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন ও মানবাধিকার সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো একাডেমি অফ ফাইন আর্টস কনফারেন্স হল কলকাতায়। এর আয়োজক ছিল ক্যাম্‌ব (সিএএএমবি– ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট অ্যাট্রোসিটিস অন মাইনোরিটিস অব বাংলাদেশ) ও অল ইন্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট।

স্বাগত ভাষণে সঞ্চালক ড. মোহিত রায় বলেন যে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার সমস্যার বিষয়টি ভারতে ও আন্তর্জাতিক মহলে দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে এই সভার আয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম জনগণ ভারতের বন্ধু ভাবাপন্ন জনগোষ্ঠী। ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এবং চট্টগ্রাম বন্দর ঘেঁষা এই পার্বত্য অঞ্চলটি যদি মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়, তাহলে কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এটা দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর জন্য হবে চরম জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি।

গৌতম দেওয়ান ( সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও তা না কার্যকরী করার বিষয় নিয়ে বিশদে বক্তব্য রাখেন। জিষ্ণু বসু (অধ্যাপক, সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স) পার্বত্য চট্টগ্রামের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি সেখানের মানুষের বিশ্বাস ও ভালবাসার কথা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সব সরকারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উপর বিদ্বেষমূলক আচরণের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরেন। গৌতম দেওয়ান ( সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ) পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের প্রতিরোধের কাহিনী বর্ণনা করেন। করুণালঙ্কার ভিক্ষু (পিস ক্যাম্‌পেন গ্রুপ, পার্বত্য চট্টগ্রাম) পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদের সমস্যার কথা বিবৃত করেন।

তথাগত রায় (সাবেক রাজ্যপাল) পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণকে দেশভাগ ও ইসলামিকরণের সমস্যা সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস জেনে সচেতন হতে আহ্বান জানান।

উত্তম চক্রবর্তী (সংগঠন সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ) পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আন্দোলনের সঙ্গে সমস্ত সংখ্যালঘু জনগণের ঐক্যের কথা ব্যক্ত করেন। শ্রোতাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের পর সুজিত শিকদার সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সভাগৃহ শ্রোতাদের উপস্থিতিতে পূর্ণ ছিল। আগামী দিনেও এরকম সভা হবে বলে আশা করা হয়।