চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি নিহত - Southeast Asia Journal

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি নিহত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

১৫ দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরও বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার সময় দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশে রবিউল ইসলাম নামের এক গরু ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

নিহত রবিউল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত রহমতুল্লাহর ছেলে। এরআগে ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় একই জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশের নোনাগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন মিজানুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি।

ঠাকুরপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রবিউল ইসলামসহ ৩-৪ জন গরু ব্যবসায়ী বুধবার সন্ধ্যায় অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে গরু আনতে যান। রাত ১২টার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ঠাকুরপুর সীমান্তের ৯২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে পৌঁছালে বিএসএফের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রবিউল ইসলাম। এসময় রবিউল ইসলামের সহযোগীরা পালিয়ে এসে প্রাণে রক্ষা পান।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুর রহমান বলেন, রবিউল হক অবৈধভাবে মালামাল পারাপার করতেন বলে শুনেছি। গতরাতে মালামাল পারাপার করতে ভারতে গেলে ঠাকুরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন তিনি।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, রবিউল ইসলামের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে রাখা আছে। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান বলেন, ঠাকুরপুর সীমান্তে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মরদেহ হস্তান্তর কখন হবে সেটা পরে জানানো হবে।