রাঙামাটিতে বাঙ্গালি কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ চাকমা যুবকের বিরুদ্ধে - Southeast Asia Journal

রাঙামাটিতে বাঙ্গালি কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ চাকমা যুবকের বিরুদ্ধে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ধামাইপাড়া যক্ষাবাজার এলাকায় চাকমা সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধামাইপাড়া যক্ষাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ধর্ষক সুনীল কুমার চাকমা (৪৬)কে আটক করে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সুনীল কুমার চাকমা জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৩নং মৈদং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী এলাকার দয়াধন চাকমার ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বলে জানা গেছে।

জানা যায়, জুমার নামাজের সময় অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে থাকায় খালি ঘরে একা পেয়ে দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাতেনাতে লম্পট সুনীল কুমার চাকমাকে আটক করে। এসময় টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুনীলকে আটক করে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে ওই কিশোরীর পিতা উল্লেখ করেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া বারোটার সময় আমার মেয়ে বাসায় রুমে বসে টিভি দেখছিলো, এসময় সুনীল কুমার চাকমা বাসায় প্রবেশ করে। অভিভাবকরা কেউই বাসায় নেই জানতে পেরে, যৌন কামনা চরিতার্থ করতে আমার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় সে। তাৎক্ষনিক আমার মেয়ের চিৎকারে আমিসহ স্থানীয় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে হাতে-নাতে সুনীল কুমার চাকমাকে ধরে ফেলি। এসময় আমাদের এলাকায় টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা এগিয়ে আসতে সুনীলকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জুরাছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিম বাঙ্গালী কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জুরাছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি ইতোমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। আটককৃত সুনীল কুমার চাকমাকে শনিবার রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।

জানা গেছে, রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকাটি উপজাতি অধ্যুষিত। সেখানে গুটিকয়েক বাঙ্গালী বসতি রয়েছে। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটলেও উপজাতি সন্ত্রাসীদের ভয় ও স্থানীয়দের রোষানলে পরার ভয়ে এ বিষয়ে গত দুদিন ধরে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে লেখা-লেখি হলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। এছাড়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বাঙ্গালী কিশোরীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতসহ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল হোতা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল কুমার চাকমার কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

তবে, পাহাড়ে নারী অধিকারের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে থাকা হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘ এখন অবধি এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।