হামলার নেতৃত্বদানকারী হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের - Southeast Asia Journal

হামলার নেতৃত্বদানকারী হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গত ৭ অক্টোবর ভোরের দিকে যার নেতৃত্বে হামলা শুরু করেছিল গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস, শনিবার ড্রোন হামলা চালিয়ে হামাসের সেই কমান্ডার আলী কাদিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এই দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, গত শনিবার হামাসের যে কমান্ডার ইসরায়েলে হামলার হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে শুরু হওয়া হামলা এখন উভয়পক্ষের মাঝে যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। এই যুদ্ধে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলী কাদি হামাসের ‘নুখবা’ (এলিট) কমান্ডো ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এবং সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী বলেছে, শিন বেত এবং আম্মানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে গত সপ্তাহে গাজার আশপাশের বসতিতে আক্রমণে নেতৃত্বদানকারী হামাসের নুখবা বাহিনীর কমান্ডার আলী কাদিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলিদের অপহরণ এবং হত্যার দায়ে ২০০৫ সালে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে গিলাদ শালিত চুক্তির আওতায় তাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে, শুক্রবার হামরা চালিয়ে হামাসের অন্যতম আরেক শীর্ষ কমান্ডার মুরাদ আবু মুরাদকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। মুরাদ হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন ও এরিয়াল অপারেশন্স বিভাগের প্রধান ছিলেন। শনিবার এক বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, ‘গাজার যে গোপন ঘাঁটি থেকে ড্রোন ও অন্যান্য এরিয়াল হামলা পরিচলনা করে হামাস, শুক্রবার সেই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে (ইসরায়েলের) বিমান বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই মুরাদ আবু মুরাদসহ হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোর ভোরের দিকে ইসরায়েলে দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ রকেট হামলা শুরু করে গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস। পরে হামাসের হামলার পাল্টায় গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। উভয়পক্ষের চলমান এই হামলা-পাল্টা হামলার এক সপ্তাহ চলছে আজ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৭২৪ শিশুসহ ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।