সিএইচটি নিউজের নতুন অপপ্রচার: রামগড়ে বিজিবির রুটিন টহলকে ঘিরে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা

সিএইচটি নিউজের নতুন অপপ্রচার: রামগড়ে বিজিবির রুটিন টহলকে ঘিরে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা

সিএইচটি নিউজের নতুন অপপ্রচার: রামগড়ে বিজিবির রুটিন টহলকে ঘিরে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত ব্লগ সাইট ‘সিএইচটি নিউজ’ আবারও তাদের চিরাচরিত কৌশলে নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়মিত টহলকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ের লালছড়ি ও নাঙ্গেল পাড়ায় বিজিবির উপস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে “আতঙ্ক সৃষ্টি”, “হয়রানি”, “রাতযাপন”—এসব শব্দ ব্যবহার করে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা তথ্যের চেয়ে প্রচারণার অংশ বলেই মনে হয়। পাহাড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর টহল নিয়মিত পেট্রোলিং প্রোটোকলের অংশ, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসী উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান ঠেকানো এবং পাহাড়ে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ। কিন্তু সিএইচটি নিউজ’ এর ব্লগে ছাড়ানো বিষয়গুলোর কোনোটাই উল্লেখ করা হয়নি—বরং ইচ্ছাকৃতভাবে শুধুই আতঙ্ক ও সেনা-বিজিবির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস সৃষ্টির আখ্যান বেছে নেওয়া হয়েছে।

সিএইচটি নিউজের এই ধরনের উপস্থাপনা নতুন কিছু নয়। অতীতেও তারা ইউপিডিএফের স্বার্থে নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়মিত দায়িত্ব পালনের ঘটনাগুলোকে ‘হয়রানি’ আখ্যা দিয়ে পাহাড়িদের মাঝে বাঙ্গালী ও নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে।

অথচ বাস্তবতা হলো—সাম্প্রতিক সময়ে রামগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র সক্রিয়তা, চাঁদাবাজি ও টহল রাস্তায় সন্দেহজনক চলাচলের তথ্যের আলোকে নিরাপত্তাবাহিনী এলাকাগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। এটি জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় কর্তব্য। যার ফলে রামগড়ের আশে-পাশে চাঁদাবাজি-অপহরন কিংবা ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কিন্তু সিএইচটি নিউজ এসব তথ্য সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে ঘটনাকে এমনভাবে সাজিয়েছে যেন নিরাপত্তাবাহিনী (বিজিবি) “উদ্দেশ্যহীন আতঙ্ক সৃষ্টি” ছাড়া আর কিছুই করছে না।

ব্লগে বিজিবির টহল পথ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকেও অস্বাভাবিক হিসেবে দেখানো হয়েছে—যা প্রকৃতপক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সবচেয়ে সাধারণ প্রক্রিয়া। অপরদিকে সেনাবাহিনীর রুটিন মুভমেন্ট—যা প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ঘটে—তাকে “রহস্যময় টহল” আখ্যা দিয়ে পাঠকের মনে সন্দেহ সৃষ্টিই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।

এই ব্লগ রিপোর্টের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো—একটি সশস্ত্র সংগঠনের প্রচার মাধ্যম হিসেবে পরিচিত একটি ব্লগ সাইট বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর অবিশ্বাস তৈরির জন্য বিভ্রান্তিকর ভাষা ব্যবহার করছে, অথচ পাহাড়ে প্রকৃত সংঘাত, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি বা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা সম্পর্কে একটি শব্দও বলে না। একে নিরপেক্ষ সংবাদ বলা যায় না—এটি পরিষ্কারভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল নিয়মিত ও প্রয়োজনীয়। এসব টহলকে গুজব ছড়িয়ে আতঙ্কের রূপ দেওয়ার চেষ্টা আসলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র ও চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ককে আড়াল করারই কৌশল। তাই পাঠকের উচিত—এ ধরনের প্রতিবেদনের উৎস, উদ্দেশ্য ও অতীত রেকর্ড বিবেচনা করা। পাহাড়ের শান্তি, উন্নয়ন ও সহাবস্থানের জন্য বিভ্রান্তি নয়—সঠিক তথ্যই সবচেয়ে জরুরি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed