আরামদায়ক সাজেক ভ্রমনে সড়ক সংস্কার করছে সেনাবাহিনী - Southeast Asia Journal

আরামদায়ক সাজেক ভ্রমনে সড়ক সংস্কার করছে সেনাবাহিনী

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মেঘ পাহাড়ের উপত্যকা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক ও স্থানীয়দের যাতায়াত আরামদায়ক এবং স্বস্তির করতে সড়কের খানাখন্দ, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

গত ২০ অক্টোবর থেকে দীঘিনালা-সাজেক সড়কে সংস্কার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ২০ ইসিবি। ২০ ইসিবির অধীনে দীঘিনালা-সাজেক সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প সংস্কার কাজ করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করা যাবে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দীঘিনালা-সাজেক সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, চলতি বছরের ২৯ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে রিটেনিং ওয়াল, প্যালাসাইডিং, হার্ট সোল্ডার কার্পেটিং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয় এবং পর্যটক ও স্থানীয়রাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পুরো সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ১২ কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ও ১০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় কূপ তৈরি হয়। এছাড়া পাহাড় ধস, ড্রেন ভেঙে পরা, ব্রিজ সংযোগ সড়কসহ নানানভাবে ক্ষতি হয়। সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গলের কারণে সরু রাস্তায় চলাচলের কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। রাস্তায় পানি অপসারণের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় জমা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক।

সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এইচ এম ইকরামুল হক বলেন, ‘এই বছর টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার দীঘিনালা-সাজেক সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যটকদের গাড়ি যাতায়াতে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল এবং জনদুর্ভোগ দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে সড়ক মেরামত করা ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য ২০ ইসিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রকল্প কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যেহেতু সড়কটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত তাই কাজের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানেই প্রতিকূলতা রয়েছে। সেনাবাহিনী সকল সমস্যা সমাধানকল্পে গুনগত মান ঠিক রেখে নিরলসভাবে সকল সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় পুনরায় পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি। এই উপজেলাতেই অবস্থিত দেশের অন্যতম পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালি। ভৌগোলিক দিক থেকে সাজেক ইউনিয়ন রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও সড়ক পথে সাজেকে যাতায়াতের পথটি খাগড়াছড়ি থেকেই। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা হয়ে সাজেকে পৌঁছাতে হয়।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম হয়ে থাকে। সাজেক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠার পর পর্যটনদের জন্য রাত্রীযাপনের সুব্যবস্থার জন্য গড়ে ওঠে উঠেছে শতাধিক কটেজ-রিসোর্ট।