মিয়ানমার পরিস্থিতিঃ সাহায্যের জন্য চীনকে অনুরোধ জান্তার - Southeast Asia Journal

মিয়ানমার পরিস্থিতিঃ সাহায্যের জন্য চীনকে অনুরোধ জান্তার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যে ও আরও কয়েকটি শহরে গত এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে জান্তা সরকার। এ নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো বেহাল দশায় পড়েছে জান্তা। এ পরিস্থিতিতে চীনের সাহায্য চেয়েছে জান্তা সরকার।

অক্টোবরের শেষের দিকে উত্তর শান রাজ্য, কাচিন রাজ্য এবং উচ্চ সাগাইং অঞ্চলজুড়ে শুরু হওয়া সমন্বিত আক্রমণে শাসনগোষ্ঠী শত শত সেনা, ফাঁড়ি, শহর ও বাণিজ্য পথ হারিয়েছে। অপারেশন ১০২৭ নিজেদের গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এরই মধ্যে ভেঙে পড়েছে জান্তা। একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে। মিয়ানমার শাসক তার উত্তর প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। অভ্যন্তরীণ সংঘাতে হস্তক্ষেপ করতে বলেছে বেইজিংকে। তবে চীন কি বর্তমান সংঘাতে সরকারকে সহায়তা করবে– এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের নামখাম টাউনশিপে জান্তার যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। জান্তার মূল ঘাঁটিতে তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মিয়ানমার জান্তা এ হামলা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবেদনের বরাতে তায়াং উইমেনস অর্গানাইজেশন (টু) জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে তাদের বাড়িঘরে বোমা হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে গত তিন দিনে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গ্রুপ (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও) সারাদেশে শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাওয়ায় জান্তা সরকার গত তিন দিনে আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ও অন্তত ২৪ জন সেনা হারিয়েছে। এ ছাড়া টিকে থাকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দল বেঁধে আত্মসমর্পণও করছে তারা।