খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধস, ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক
 
                 
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় পাহাড়ধসে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুপাশে অনেক যান আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর রাতের দিকে সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করে।
জানা যায়, ভারি বৃষ্টির কারণে ভোর রাত ৪টার দিকে সাপমারা এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া খাগড়াছড়িগামী যানবাহনগুলো আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়কের ওপর পড়ে থাকা মাটি সরাতে শুরু করেন।
এতে প্রায় ৪ ঘণ্টা খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে সড়ক থেকে পাহাড়ধসের মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ভোরে পাহাড়ধসের ঘটনায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এখনও সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার বেশ কয়েকটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
