‘আদিবাসী পুর্নবাসন ও আদিবাসী শব্দটিকে প্রতিষ্ঠিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রকে রুখে দিবে ছাত্র জনতা’

‘আদিবাসী পুর্নবাসন ও আদিবাসী শব্দটিকে প্রতিষ্ঠিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রকে রুখে দিবে ছাত্র জনতা’

‘আদিবাসী পুর্নবাসন ও আদিবাসী শব্দটিকে প্রতিষ্ঠিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রকে রুখে দিবে ছাত্র জনতা’
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

যেকোন সংস্কারের ছদ্মাবরণে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী পুর্নবাসন ও আদিবাসী শব্দটিকে প্রতিষ্ঠিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রকে রুখে দিবে ছাত্র জনতা। বর্তমান সরকারের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকারের কোনো কোনো প্রতিনিধি যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী স্বীকৃতি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের পুর্নগঠনে কোনো প্রকার উষ্কানীমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করার চেষ্ঠা করে তাহলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে। চরম উত্তপ্তময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে এবং এর দ্বায়ভার তাদেরকেই নিতে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাঙামাটি শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনে জনসংখ্যার অনুপাতে সদস্য নিয়োগ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বাঙালি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

মূলত পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা সুপ্রদীপ চাকমা শনিবার রাঙামাটি সফরে এসে এখানকার অন্যান্য সকল রাজনৈতিকদলগুলোকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আওয়ামী ঘরানার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় করায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারা দেশে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ বহাল রয়েছে। অবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ভেঙে পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।

সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী। একই আলো বাতাস ও প্রতিকুল পরিবেশে বসবাস করার পরও পার্বত্য বাঙ্গালীরা শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভুমি ও রাজনৈতিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এ বৈষম্য রাষ্ট্রের জন্য চরম লজ্জাজনক ও নাগরিক হিসেবে চরম হতাশার।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে সৃষ্ট বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকার এ বৈষম্য নিরসনে উদ্যোগ নিবে আশা করে বলা হয় সরকার ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ চেয়ারম্যান নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ আইনে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজাতীয় ব্যক্তি চেয়ারম্যান নিয়োগ পাবেন, একই কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উপজাতীয় চেয়ারম্যান নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টাও একজন উপজাতি। বাকি রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ। যেখানে একজন বাঙ্গালী চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে আইনের কোন বাধা নেই।

এ ছয়টি পদের মধ্যে ৫টি পদ উপজাতীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকায় পাহাড়ের অর্ধেক জনগোষ্ঠী (বাঙালীরা) প্রতিনিধি শুন্য হয়ে রাজনৈতিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এ বৈষম্য নিরসনের লক্ষে তিন পার্বত জেলা পরিষদ জনসংখ্যানুপাতে সদস্য নিয়োগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহমেদ, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি লোকমান হোসেন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডালিম উপস্থিত ছিলেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed