কে এই মুহিবুল্লাহ?
 
                ছবি- সংগৃহীত।
 
নিউজ ডেস্ক
গত কয়েকদিন আগে দেশের সবচেয়ে বড় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলো প্রিয়া সাহা ও ট্রাম্প। আর সেই প্রিয়া সাহার সাথে ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাওয়া এবং সেই সাথে গতকাল ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশের সাথে জড়িত ব্যক্তির নাম মুহিবুল্লাহ। যিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান। এই সেই মুহিবুল্লাহ, যিনি মাস খানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার বিশ্বের ১৭টি দেশের ২৭ জন প্রতিনিধির মধ্যে মুহিবুল্লাহদের সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছোট-খাটো বিরোধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাস ও এনজিওদের সাথে মিলে রোহিঙ্গাদের ভুল বুঝিয়ে বাংলাদেশে থাকতে বাধ্য করা আরেক রোহিঙ্গা গুরু এই ব্যক্তি।
অভিযোগ উঠেছে, ২৬ তারিখে রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশ আয়োজনের পেছনে অর্থায়ন করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার অর্থ যোগানদাতা পাকিস্তান ভিত্তিক সংস্থা আল খিদমত ফাউন্ডেশন!
বিভিন্ন দেশের এনজিওকর্মীদের পাশে নিয়ে সেই মুহিবুল্লাহই রোহিঙ্গা সমাবেশের মঞ্চের মধ্যমণি হয়ে যান। দুই বছর আগে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এদের অপকর্মে এখন সিংহভাগ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ইয়াবা ব্যবসা, যৌন পেশা, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গণমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করার জন্য বেশ কিছু সংগঠনের কাজ করার খবর এসেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। মুহিবুল্লাহ কীভাবে আমেরিকা গেলেন, নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে থেকে কোন পাসপোর্টে গেলেন- এসব প্রশ্ন উঠছে। আরও প্রশ্ন উঠছে যে, রবিবারের সমাবেশে এত সুসজ্জিত ডিজিটাল ব্যানার কোথা থেকে এল? এক শ্রেণির এনজিও চাইছে রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখতে; এতে তাদের পকেট ভর্তি হতে থাকবে। এর পেছনে কাদের উস্কানি রয়েছে তা শীঘ্রই খতিয়ে দেখা দরকার।
