রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, তুলে নেওয়া হলো ১৪৪ ধারা

রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, তুলে নেওয়া হলো ১৪৪ ধারা

রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, তুলে নেওয়া হলো ১৪৪ ধারা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়িতে মামুন নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙ্গালি সংঘর্ষে হতাহত, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় কোর কমিটির মাধ্যমে তদন্ত চালানো হবে জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান।

এই কোর কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিজন ব্যক্তির সাথে সরাসরি কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং সেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

অপরদিকে রাঙামাটিতে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির নবাগত পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন।

এই দুইটি মামলার আলোকেই রাঙামাটিতে সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, যারাই আইন হাতে তুলে নিয়েছে তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সকলকেই ভূমিকা রাখার আহবানও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এদিকে, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।

রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, তুলে নেওয়া হলো ১৪৪ ধারা

তিনি বলেন, গত দুদিনের চেয়ে আজ (রোববার) রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সমানভাবে কাজ করছে। আশা করছি— আর কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। তাই আজ বেলা ১১টা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর সদর জোন অধিনায়কের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।

জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে। আমরা সেটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব এবং পরবর্তীতে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

এদিকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হলেও অবরোধ এবং ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকেলে সম্প্রীতি সভা রয়েছে। সেই সম্প্রীতি সভায় আলোচনার মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।