পরিষদে বসে মাদক বিক্রি, সেনা অভিযানে ত্রাণের কম্বল, অস্ত্র ও মাদকসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
![]()
নিউজ ডেস্ক
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পিন্টুসহ ৬ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
গত ৪ নভেম্বর (সোমবার) ভোরে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিন্টু, তার ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে পরিচিত একই গ্রামের হাশেম মালিথার দুই ছেলে মেহেদী হাসান ও রাজা বাবু, রইচ উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, কামালপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি রহমান ও গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার এবং কুমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল।

এ সময় তাদের কাছ থেকে মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও কনডম, হুক্কা, খেলনা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, অভিযানকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ হতে ২ বোতল রয়েল মদ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, খেলনা পিস্তল, ১টি বড় দা, ২ টি হুক্কা, ৪৪ টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ইয়াবা ও হিরোইন খাওয়ার সরঞ্জাম, নগদ ১২ হাজার ৮৬০ টাকা ও দুস্থদের জন্য প্রদানকৃত ৭০০ টি সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকের পর তাদেরকে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল তাদেরকে থানা হেফাজতে দিয়েছেন। দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।