খাগড়াছড়িতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ বাতিলের দাবি, রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খাগড়াছড়িতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ বাতিলের দাবি, রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খাগড়াছড়িতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ বাতিলের দাবি, রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদ্য পুন:গঠিত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ও পরিষদবর্গের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উশেপ্রু মারমা। বক্তব্যে তিনি নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা এিপুরাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিষদবর্গকে বাতিল করা না হলে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ঘেরাও, হরতাল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

জিরুনা ত্রিপুরার স্বামী ইলিয়ন ত্রিপুরা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদে উল্লেখ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

খাগড়াছড়িতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ বাতিলের দাবি, রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিদুষী চাকমা, মো. ইব্রাহিম খলিল, সুমিত্রা চাকমা, সূর্য কারবারী ত্রিপুরা। নেতৃবৃন্দ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এদিকে, নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিল এবং কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এই চার উপজেলার বাসিন্দারা। জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

খাগড়াছড়িতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ বাতিলের দাবি, রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধু ৬টি উপজেলা থেকে ১৫ জন প্রতিনিধিদের নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনো প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সাথে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ সদস্য জনবিচ্ছিন্ন এবং পতিত সরকারের সুবিধাভোগী বলে দাবি করা হয়। এমনকি একই পরিবারের একাধিক সদস্য এবং হত্যা মামলার পলাতক আসামি রয়েছে পরিষদে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলাবাসীর পক্ষে অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, উথান মারমা, কাউখালী উপজেলাবাসীর পক্ষে মো. জসিম উদ্দিন, ল‌লিত চন্দ্র চাকমা, মো. তারা মিয়া, বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে এমদাদ হোসেন ও পুলিন বিহারী চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদা‌য়ের প্রতি‌নি‌ধি রন‌জিত তঞ্চঙ্গ্যা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।