আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক বর্ণাঢ্য আয়োজনে শান্তি চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
![]()
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অপারেশন উত্তরণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বিভিন্ন রিজিয়নের অধীনে থেকে জোনসমূহ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান রিজিয়নের আলীকদম জোন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭তম দিবস ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে।
এ দিনটিকে ঘিরে দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে আলীকদম সেনা জোন। সোমবার দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে স্বরণীয় করে রাখার জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

এদিন আলীকদম জোনের একটি চিকিৎসা দল কর্তৃক দিনব্যাপী আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দুঃস্থ, অসহায় ও গরীবদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং ঔষুধ বিতরণ করা হয়।
উক্ত ক্যাম্পেইনে ৩৫৮ জন বাঙ্গালি ও ৭১৩ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সদস্যদের মেডিক্যাল সহায়তা প্রদান করা হয়। যাদের মধ্যে ২২৫ জন পুরুষ, ৫৮৪ জন মহিলা এবং ২৬২ জন শিশুসহ সর্বমোট ১০৭১ জন ব্যক্তিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আলীকদম জোন ক্যান্টিনের কনফারেন্স রুমের সম্মুখে জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ এর উপস্থিতিতে আলীকদম জোনের আওতাধীন অসহায়, গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে ৭০০ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
পরবর্তীতে আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আলীকদম বনাম লামা উপজেলার মাঝে একটি প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ।
প্রধান অতিথি বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের বন্ধু। তাই সেনাবাহিনীকে আপনাদের প্রতিপক্ষ না ভেবে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের গণতান্ত্রিক দেশ। তাই এই দেশে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের কোন জায়গা হবে না। আমি আশা রাখি এবং বিশ্বাস করি আলীকদম এবং লামা এলাকাবাসী কোন সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেবে না। এজন্য সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল স্তরের জনগণের আপদকালীন সময় ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে পাশে থেকে যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলেও উল্লেখ করেন।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।