বাংলাদেশে সবাই আদিবাসী- জাতিসংঘকে সরকার - Southeast Asia Journal

বাংলাদেশে সবাই আদিবাসী- জাতিসংঘকে সরকার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নয়, বরং এ দেশের সবাই ‘ইন্ডিজেনাস’ বা আদিবাসী বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে সরকার। গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্ল্যাশেলেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য রয়েছে।

মানবাধিকারকর্মী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের হয়রানির ব্যাপারে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জাতিসংঘকে তার অবস্থান জানায়। এদিকে গত (১৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার জেনেভা ও নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়েই হয়রানি বেড়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কিছু মানবাধিকারকর্মী, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি গত এপ্রিল মাসে নিউ ইয়ার্কে ‘পার্লামেন্ট ফোরাম অন ইন্ডিজেনাস ইস্যুজ’-এর বৈঠকের সময় হয়রানি ও বাধার শিকার হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের সেখানে অনুসরণ করা হচ্ছিল। অনুমতি ছাড়া তাঁদের ছবি তোলা হয়েছে এবং বৈঠকগুলোতে তাঁদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। ফলে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

সরকার গত ৫ জুলাই এসবের জবাব দিতে গিয়ে অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য আরো তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ বলেছে, অভিযোগগুলো অসম্পূর্ণ ও অযৌক্তিক।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে জাতিসংঘের বৈঠকগুলোতে বক্তাদের ছবি বা অডিও-ভিডিও ধারণ সাধারণ রীতি বলে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ বলেছে, পার্লামেন্ট ফোরামের সব অনুষ্ঠান এবং সাইড ইভেন্টগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। জাতিসংঘ দপ্তরের বারান্দায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা এবং বৈঠকগুলোতে কথা বলতে বারণ করার কোনো ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ অবগত নয়। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের প্রত্যেকেই আদিবাসী। এ দেশে প্রায় ৫০টি নৃ-গোষ্ঠী আছে। তবে পার্লামেন্ট ফোরামে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগ একটি নির্দিষ্ট নৃগোষ্ঠীর সদস্য—এ কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ওই ফোরামকে আরো অংশগ্রহণমূলক হওয়ার সুপারিশ করেছে।