শ্রমিক সংকটে মিয়ানমার, পোশাক খাতে উৎপাদন কমেছে ২০ শতাংশ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্পে ২০ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, রিজার্ভ কমে যাওয়া, নতুন ও দক্ষ শ্রমিক খুঁজে না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। আর এতে কমছে দেশটির রপ্তানি আয়। এমনকি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের পোশাক খাত পিছিয়ে গেছে ১৫ বছর।
মিয়ানমারের অন্যতম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দেশটিতে বিদ্রোহী ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সহিংসতাসহ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই খাত প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে। বিশেষ করে ব্যয় বৃদ্ধি ও শ্রমিক সংকটে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্বল্প মজুরি এবং দুর্বল মুদ্রার কারণে দেশটির পোশাক শিল্প বেশ ভালোভাবেই চলছিল। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে মিয়ানমারের পোশাক রপ্তানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৩০ ভাগ ছিল। তবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এখন বেশিরভাগ কারখানাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছে। বিশেষ করে বিগত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে শ্রমিক সংকট প্রকট হয়েছে। বাড়তি জীবনযাত্রার ব্যয় এবং বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগের কারণে অনেকে বিদেশে চাকরি খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
শ্রমিকের অভাবে বর্তমান কর্মীদের ওভারটাইম করতে হচ্ছে। তবে, তা উৎপাদন বাড়ানোর পরিবর্তে কমিয়ে দিচ্ছে। এতে বাড়ছে খরচও। যার ফলে ছোট ছোট প্রায় ৬০ শতাংশ কারখানা এরিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।এর আগে ২০২৩ সালের শেষে বন্ধ হয়ে যায় ২৯৮টি কারখানা।
এইচ অ্যান্ড এমের মতো আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো মিয়ানমার থেকে এখন পোশাক কেনার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আদেশ কম আসছে।
পোশাক খাতের এই প্রবণতা দেশটির শ্রমবাজারও বদলে দিয়েছে। বর্তমানে ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩ হাজার ৬০০ কিয়াত। দেশটিতে ২০১৮ সালের পর থেকে চালের দাম বেড়েছে অন্তত তিন গুণ। একই সঙ্গে বেড়েছে দ্রব্যমূল্যও। ফলে এই মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিকদের জীবনমানে খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারছে না।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
