পশ্চিমবঙ্গের ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ পুরনো ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে অপপ্রচার

পশ্চিমবঙ্গের ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ পুরনো ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে অপপ্রচার

পশ্চিমবঙ্গের ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ পুরনো ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে অপপ্রচার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুট্টা ক্ষেতে এক নারীর লাশের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যে ভিডিওটিকে বাংলাদেশের ঘটনা উল্লেখ করে ওই নারীকে ধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া একই ভিডিও বাংলাদেশে হিন্দু নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা বলেও দাবি করে প্রচার করা হয়েছে। যা প্রকৃত অর্থে সত্য নয়। এমনকি ওই নারীর লাশের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাই-বাছাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।

সংস্থাটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নারী ধর্ষণ ও হত্যার দাবিতে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয়। এটি ভারতের ঘটনার এবং পুরনো ভিডিও। যা ২০২৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বৈষ্ণবনগরে একটি ভুট্টার ক্ষেত থেকে মৌসুমী মণ্ডল নামের এক নারীর লাশ উদ্ধারের ভিডিও।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে―অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Amit Malviya নামের একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারির একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। সেই পোস্টে একই ঘটনার একটি ভিডিও জুড়ে দিয়ে ঘটনাটি উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।

পোস্টটি থেকে এটা স্পষ্ট যে, ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের। ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং) বৈষ্ণবনগর বিধানসভার সীমান্তবর্তী গ্রাম শবদলপুরে একটি ভুট্টা ক্ষেতে ২৭ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা মৌসুমী মণ্ডলের মরদেহ পাওয়া যায়।’

এ পোস্টটির সূত্র ধরে করা অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ হওয়া একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যমটি ‘মালদায় ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, একই দিনে উদ্ধার ২ দেহ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। তাতে মৌসুমী মণ্ডলের হত্যা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বৈষ্ণবনগর থানার চরি-অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুইশ’ বিঘা গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতে এক গৃহবধূর গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম মৌসুমী মণ্ডল। ছাগল চরাতে গিয়ে দুই কিশোর তার মরদেহ দেখতে পায়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারদিন আগে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন ওই নারী। শুক্রবার পারিবারিক জমি দেখভাল করার জন্য মাঠে যান। এরপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। মরদেহ উদ্ধার করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। পরিবারের ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।

অর্থাৎ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরনো ঘটনার ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বলে দাবি এবং বাংলাদেশে হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের কোনো ঘটনা নয় এবং দাবিটি মিথ্যা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।