বিলাইছড়িতে জেএসএস ও কেএনএফের মধ্যে গোলাগুলি, জনমনে আতঙ্ক

নিউজ ডেস্ক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বুড়িক্কা ছড়ায় (তঞ্চঙ্গা পাড়া) আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ জেএসএস ও কেএনএফ’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায় না গেলেও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গোলাগুলির ঘটনায় জেএসএস পিছু হটে রাঙামাটির দিকে চলে যায় এবং কেএনএফ’র ১৮/২০ সদস্য ‘মিরিংগা ছড়া’ পাড়ার পাশ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ওই এলাকার কিছু বসতঘর ও সোলার প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কোন ব্যক্তির হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সংঘাত রোধে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বিলাইছড়ি থানার ওসি মানস বড়ুয়া জানান, বিলাইছড়িতে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ স্থানীয়দের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ‘অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল’ হওয়ার খবরে রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের মারিচুক মৌন পাহাড় দখল নিয়ে পাহাড়ি আঞ্চলিক দল জেএসএস (মূল) ও ইউপিডিএফ (প্রসীত) সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে ইউপিডিএফ’র দুটি ক্যাম্পের সন্ধান
গত ৩ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অভিযানে রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে ইউপিডিএফের (মূল) দুটি ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাঙামাটি রিজিয়ন কর্তৃক চলমান বিশেষ অভিযানে বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে তল্লাশি অভিযান পরিচালনাকালে পাগলিছড়ি ও যমচুক এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় এই দুটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পাওয়া যায়।
সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানের কারণে ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা উক্ত ক্যাম্প দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পাগলিছড়ি এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় তল্লাশি অভিযানে ইউপিডিএফের (মূল) একটি সম্ভাব্য প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সন্ধান মেলে যা একটি বড় জায়গা জুড়ে অবস্থিত। ওই ক্যাম্পে চলাচলের রাস্তাসহ পর্যবেক্ষণ চৌকি, প্রশিক্ষণ মাঠ ও বাসস্থান বিদ্যমান।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
এ ছাড়া অপর একটি অভিযানে যমচুক এলাকায় আরেকটি ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া যায়। ক্যাম্পটিতে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন প্রতিরোধ করার জন্য খননকৃত বাঙ্কারসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্ত্রাসী বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে এ ধরনের অপারেশন চলমান থাকবে বলেও জানায় আইএসপিআর।
সূত্র: পাহাড় সমুদ্র।