পাকিস্তানি নারীর হানি ট্র্যাপে দুই ভারতীয়, হাতিয়ে নিলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
![]()
নিউজ ডেস্ক
হানি ট্র্যাপে প্রেমে জড়িয়ে দুই ঠিকাদারকর্মীকে ব্যবহার করে ভারতের নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই তথ্য পাচারের তালিকায় রয়েছে ভারতের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।
ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) এই কাজে জড়িত। নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’তে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ওই দুই ঠিকাদার কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ওই নারী।
গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে। তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
উল্লেখ্য, গত বছরও বিশাখাপাটনাম নৌঁঘাটিতে এক ভারতীয় নেভি অফিসারকে হানি ট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই’র বিরুদ্ধে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।