বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নে হেডম্যান-কার্বারী ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নে হেডম্যান-কার্বারী ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নে হেডম্যান-কার্বারী ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সীমান্তে শান্তি, শৃংখলা ও সম্প্রীতি উন্নয়নকে প্রাধন্য দিয়ে খাগড়াছড়ির বিজিবি সেক্টরের আওতাধীন বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নে (৫৪ বিজিবি) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট (৫৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরে হেডম্যান কার্বারী ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাটালিয়নের নবাগত অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মহিউদ্দিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাজেক ইউনিয়ের চেয়ারম্যান আলাতুল চাকমা, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য অনিত্য ত্রিপুরা, সাংবাদিক ওমর ফারুক সুমন, স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাহাড়ি দুর্গম জনপদের জনসাধারণের জীবন মান উন্নয়নে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। একই সাথে সম্প্রতি পাহাড়ের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের বিজিবির পক্ষ থেকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে উম্মুত্ত আলোচনা করা হয়।

May be an image of 4 people

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি বিওপি ও সদর ব্যাটালিয়নে অধিনস্ত এলাকার নানান জনগোষ্ঠীর মানুষের সুখে- দুঃখে পাশে থেকেছ ৫৪ বিজিবি। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় দুর্গম সিমান্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’ পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি সাজেকের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী, ব্যবসায়ী সহ পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত সকলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি সাজেকে পানির উৎস ও পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চা নির্মান করার উদ্বেগ নেওয়া হবে।’

এসময় সাজেকে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি বলেন, ‘সাজেকে পরবর্তী স্থাপনা নির্মাণে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সাজেকে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে ক্ষতিও অনেক কম হতো।’ জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।