অবৈধ বালি উত্তোলণের সময় সুনামগঞ্জে ২১ জনকে আটক করল সেনাবাহিনী

অবৈধ বালি উত্তোলণের সময় সুনামগঞ্জে ২১ জনকে আটক করল সেনাবাহিনী

অবৈধ বালি উত্তোলণের সময় সুনামগঞ্জে ২১ জনকে আটক করল সেনাবাহিনী
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজাররের সুরমা নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলণের সময় ৫ টি দেশীয় ড্রেজার ও ৫ নৌকাসহ ২১ সদস্যকে আটক করেছে ছাতক সেনাক্যাম্পের সদস্যরা।

আটকৃতরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (৩২), আকবর আলীর ২ ছেলে জমসের আলী (৩১) ও আচ্ছদর আলী (৩৩)। সুলতান আলী (৩৪) শহিদ মিয়া (৩৮) আবুল কালাম (৩৭) সুরমা নদীর বালি বিক্রি করছিল। বালি উত্তোলণকারী জুনু মিয়া (২৫), মমিন মিয়া (২৫) আব্দুল করিম (২৬) আজিজুর রহমান (২২) আব্দুনূর (১৯) জামির আলী (২৫) আব্দুল বাতেন (২৮), রাকিব হোসেন (২০), আজাদ মিয়া (৩২) সাদ্দাম হোসেন (৩৫) জিয়াউর রহমান (২৭), রশিদ মিয়া (২৮) ধন মিয়া (২৫) মেহিদী হাসান (২৫), শাহিন আলম (২৩), মহিবুর রহমান (২৫), আশিক নূর (২৪), জাহিদ আহমদ (২২) সুমন মিয়াসহ (২৫) মোট ২১ জন।

আটককৃতদের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর বিশ্বম্ভরপুর দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

রোববার (২৩ মার্চ) ভোরে ছাতক সেনাক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শোয়েব বিন আহমদের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা সুরমা নদী বালি উত্তোলেন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। সেনাক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শোয়েব বিন আহমাদ জানান, প্রভাবশালী রফিক মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিরাতে মোটা টাকার বিনিময়ে ড্রেজার মেশিন চালকদের কাছে সুরমা নদীর বালি বিক্রি করছিল। ড্রেজার চালকরা গভীর রাত থেকে মেশিন চালিয়ে বাল্কহেড নৌকায় লোড করে উত্তোলিত বালি সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে। অবৈধভাবে নদী তীর থেকে বালি উত্তোলনের ফলে গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি নদী ভাঙনের মুখে পড়ে। গ্রামবাসী বালি খেকোদের বালি উত্তোলন না করতে বলেন। কিন্তু প্রভাবশালী রফিক মিয়া ও তারবাহিনী জোরপূর্বক সন্ধ্যা থেকে ভোর ড্রেজার চালিয়ে বালি উত্তেলন করে। গেল কয়েক মাসে রফিক মিয়া নেতৃত্বে এ চক্রের সদস্যরা কয়েক কোটি টাকার বালি বিক্রি করে। অভিযানের সময় রফিক মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করার হয়। আজ অভিযান চালিয়ে ৪ টি বড় বাল্কহেড ও ৫টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রেজার ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।

গ্রামবাসীরা জানান, গেল ৬ মাসে রফিক মিয়া কয়েক কোটি টাকার বালি বিক্রি করেছেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।