পানছড়িতে জীবন চাকমা হত্যার পর জেএসএস ও ইউপিডিএফ'র দায় এড়ানোর খেলা

পানছড়িতে জীবন চাকমা হত্যার পর জেএসএস ও ইউপিডিএফ’র দায় এড়ানোর খেলা

পানছড়িতে জীবন চাকমা হত্যার পর জেএসএস ও ইউপিডিএফ'র দায় এড়ানোর খেলা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অমর জীবন চাকমা নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পানছড়ির শ্রীকুন্তিমা ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত অমর জীবন চাকমা (৩০) ২ নং চেঙ্গী ইউনিয়নের রত্নসেন পাড়ার (ডুমবিল) সত্য প্রিয় চাকমার ছেলে।

কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জনসংহতি সমিতি- জেএসএস (সন্তু) পরস্পরকে এ হত্যার জন্য দায়ী করেছে।

জেএসএস’র মুখপাত্রের পক্ষ হতে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের আন্তঃকোন্দলকে ধামাচাপা দিতে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর বৃথা চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। অমর জীবন চাকমা ইউপিডিএফ’র সাবেক সদস্য। ২০২৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর ইউপিডিএফের আন্তঃকোন্দলে বিপুল চাকমাসহ ইউপিডিএফের যে ৪ জন নিহত হন (বিপুল এবং নীতিদত্ত-এর আভ্যন্তরীণ কোন্দল), সেই ঘটনার অন্যতম একজন হোতা এই অমর জীবন চাকমা। ফলশ্রুতিতে ইউপিডিএফের আক্রোশ এবং টার্গেটে পরিণত হন এই অমর জীবন। উক্ত ঘটনার পরে অমর জীবন চাকমা আবারো ইউপিডিএফের সক্রিয় কর্মী হয়ে কাজ করার প্রয়াস ব্যক্ত করেন, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয় নি। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন যাবত অনেকটা ফেরারী হয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় হারুবিল এলাকায় অমর জীবনকে পেয়ে খুন করে ইউপিডিএফ।

পাল্টা অভিযোগ করেছে ইউপিডিএফ। তাদের মুখপাত্রের পক্ষ হতে বলা হয়েছে, নিহত অমর জীবন চাকমা এক সময় ইউপিডিএফের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি ইউপিডিএফের সঙ্গ ত্যাগ করে জেএসএস’র সশস্ত্র শাখায় গিয়ে যোগ দেন। ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর হয়ে কাজ করার সময় তিনি নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম সংঘটিত করলে এতে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরপর তিনি আবার ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী থেকে পালিয়ে যান এবং ইউপিডিএফের সাথে যোগাযোগ করে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে চোরাচালানি ব্যবসায় জড়িত হন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অবস্থানকারী সন্তু গ্রুপের সাথে তিনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ দ্বন্দ্বের জেরেই সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে খুঁজে বের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।