স্বজাতি হয়েও রেহাই পায়নি সাধন চাকমা, চাঁদার জন্য ইউপিডিএফ'র তাণ্ডব

স্বজাতি হয়েও রেহাই পায়নি সাধন চাকমা, চাঁদার জন্য ইউপিডিএফ’র তাণ্ডব

স্বজাতি হয়েও রেহাই পায়নি সাধন চাকমা, চাঁদার জন্য ইউপিডিএফ'র তাণ্ডব
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বলতলি ইউনিয়নের উরহাগলা ছড়া গ্রামের সাধন বিকাশ চাকমা নিজের উৎপাদিত ঝাড়ুফুল বিক্রির জন্য দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজারে যাচ্ছিলেন। ঝাড়ুফুল তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু শনিবার (৫ এপ্রিল) পথে কনাছড়া এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) সশস্ত্র সদস্যরা তার গাড়ি থামিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে সাধন

বিকাশ চাকমাকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রড, লাঠি, ঘুষি ও লাথির আঘাতে চরমভাবে আহত হন তিনি। পরে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এমনকি তাকে পিষে মারার চেষ্টাও চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অনুরোধ ও কাকুতি-মিনতিতে পরে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিলেও শর্ত ছিল, ঘটনাটি যেন কেউ কোথাও না জানায়। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। কারণ, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আতঙ্কের কারণে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ইউপিডিএফ (প্রসীত) বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলে নিজেদের ‘জাতীয় মুক্তি’ সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়ে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের উপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে। চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হুমকির মাধ্যমে তারা পাহাড়ি জনজীবন জিম্মি করে ফেলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউপিডিএফ (প্রসীত) স্বজাতির মধ্যেই বিভাজন ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে। এতে পার্বত্য সমাজে দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করছেন, ইউপিডিএফ (প্রসীত) দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপহরণ চালিয়ে এলেও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় তারা এসব অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ ধরণের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তারা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।