বান্দরবানে ক্রামা ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবে সেনাবাহিনীর খাদ্য সামগ্রী, আর্থিক সহায়তা ও চিকিৎসা প্রদান
![]()
নিউজ ডেস্ক
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর পাহাড়ি অঞ্চলের অনন্য পরিবেশের জন্য বিখ্যাত বান্দরবান। যেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সম্প্রতি, মুরং উপজাতির ক্রামা ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের সাপ্তাহিক ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী, মিষ্টান্ন, কেক, মেডিকেল ক্যাম্পিং এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধীনে, বাকলাই পাড়া সাবজোনের কংলাই পাড়া, কাইতন পাড়া এবং দুলাচরণ পাড়ায় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

রবিবার থেকে চলমান এই উদ্যোগের আওতায় খাদ্য সামগ্রী, মিষ্টান্ন ও কেক বিতরণ করা হয়।
একইসঙ্গে, পাড়াবাসীদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্পিং সেবা এবং উপাসনালয়ের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় ধর্মীয় নেতা এবং কমিউনিটি প্রতিনিধি, কংলাই ও কাইতন পাড়া এলাকার ধর্মগুরু লংরাও ম্রো এবং কারবারি লং ইয়া ম্রো বলেন, “এটি আমাদের ধর্মীয় উৎসবের দিন। সেনাবাহিনী সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে এবং তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।”

১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক জানান, “সেনাবাহিনী সবসময় সাধারণ জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে তারা ধর্মীয় উৎসবগুলি আনন্দের সাথে পালন করতে পারে।”
বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়াটা খুবই কষ্টসাধ্য, সেখানে সেনাবাহিনীর এই সহায়তা স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বড় উৎসাহের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এ মানবিক সহায়তা শুধুমাত্র খাদ্য বা আর্থিক দানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি স্থানীয় জনগণের ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে তাদের উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এটি কেবল দুর্গম অঞ্চলের মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার উদাহরণ নয়, বরং তাদের জন্য একটি শক্তিশালী সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যা সামাজিক সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নয়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে এবং সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা আরও গভীর করেছে। সেনাবাহিনী, যার কর্তব্য শুধু দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরের জনগণের সেবা করা, এটি তার সর্বোত্তম উদাহরণ দেখাল।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।