বান্দরবানে উপ-ঠিকাদার অপহৃত, সন্দেহের তীরে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস

নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের সুয়ালকে মো. বাবুল (৫০) নামে এক উপ-ঠিকাদারকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের লম্বা রাস্তা এলাকায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এখনো তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি।
অপহৃত বাবুল স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট ভবনের নির্মাণকাজে উপ-ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর নেতৃত্বে সেখানে নির্মাণকাজ চলছিল।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই কয়েকজন সশস্ত্র লোক এসে বাবুলকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং কোনো পক্ষ এখনো মুক্তিপণ দাবি করেনি।
এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)–কে সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে তাদের দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার ইতিহাস রয়েছে। প্রশাসন এবং স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, জেএসএস বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে বান্দরবান অঞ্চলে জেএসএসের নাম বারবার উঠে এসেছে এ ধরনের অপহরণ ও সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে।
কাজটির মূল ঠিকাদার জসীম উদ্দীন তুষার বলেন, “সকাল থেকে বাবুল ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ফোন বন্ধ। কেউ এখনো কোনো দাবি জানায়নি, তাই মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই অপহরণ করা হয়েছে।”
এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ জানান, “ঘটনার কথা শুনেছি, তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। খোঁজ নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির পরও চুক্তি স্বাক্ষরকারী জেএসএস ও ইউপিডিএফ কর্তৃক একের পর এক অপহরণ, গুম, চাঁদাবাজি—এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। বিশেষ করে পাহাড়ে নির্মাণ বা উন্নয়নকাজে অংশ নেওয়া বাঙালি নাগরিকেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে।
সরকারের উচিত, এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।