জেএসএস সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজ থেকে সাজেক রুটে গাড়ি চলাচলে হুমকি

জেএসএস সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজ থেকে সাজেক রুটে গাড়ি চলাচলে হুমকি

জেএসএস সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজ থেকে সাজেক রুটে গাড়ি চলাচলে হুমকি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর মদদপুষ্ট বলে পরিচিত একটি ফেসবুক পেজ ‘পার্বত্য জুম্ম নিউজ’ থেকে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা, রাঙামাটির মারিশ্যা, করেঙ্গাতুলী ও সাজেক রুটে চলাচলকারী যানবাহনকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে করা পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, “যদি কোনো গাড়ি বাঘাইহাট ক্রস করে উজো বাজার বা মাচালং আসে, সেই গাড়ি ও ড্রাইভার কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা পাবে না—যেকোনো সময় জবাব দিতে হবে।” পাশাপাশি বলা হয়, “গাড়ি পুড়ে গেলে তার দায়দায়িত্ব আমরা নেব না।”

এছাড়া, মারিশ্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তিনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গাড়ি নিয়ে “এতো কান্নাকাটি” করছেন।

পোস্টে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যরা সাজেক এলাকায় ৭ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত বাজার বন্ধ করে দিয়েছে এবং সম্প্রতি শিজক ছড়ায় গিয়ে পর্যটনের পানি সরবরাহকারী গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়েছে। এসব ঘটনায় প্রশাসনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই বলেও পোস্টটিতে দাবি করা হয়।

জেএসএস সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজ থেকে সাজেক রুটে গাড়ি চলাচলে হুমকি

দেখা গেছে মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে জেএসএস কর্মী ও সমর্থকদলের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ওই পোষ্ট শেয়ার করে দ্রুত ছড়িয়েও দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাচালং থানার ওসি বা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ফেসবুকের মাধ্যমে এভাবে হুমকি ছড়ানো স্পষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত দেয়, যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যও উদ্বেগজনক।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটেছে। সাজেক, মারিশ্যা ও বাঘাইহাট—এই তিনটি এলাকা পর্যটনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেখানে মাঝে মধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের কার্যক্রমের কারণে পর্যটকদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের প্রকাশ্য হুমকি ও বাজার অবরোধ পার্বত্য জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে তারা মত দেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।