নানিয়ারচর-লংগদু সড়ক নিয়ে আমার উপলব্ধি

মুকুট সেন
আমাদের পাহাড়ের মানুষ কবে সচেতন হবে? অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর যুক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে—নানিয়ারচর-লংগদু সড়ক নাকি পরিবেশ রক্ষার খাতিরে বানানো যাবে না! আর কতকাল আপনারা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে থাকবেন? সবাই জানে, সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ-এর চাপে জনগণকে আজ নানিয়ারচর বড়পুল এলাকায় বিক্ষোভে মিলিত হতে হয়েছে। এলাকার চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কারবারিদের হুমকি দেওয়া হয়েছে—বিক্ষোভে লোক না আনলে হত্যা করা হবে।
এই যুযুর ভয়ে আর কতকাল উন্নয়নবিমুখ হয়ে অন্ধকারে থাকবে পাহাড়ের সাধারণ জনগণ? একসময় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল এই সন্ত্রাসীরা। ফলাফল হিসেবে অন্ধকারে থেকে গেছে কয়েক যুগ। আর কত?
এইসব ছেলেমানুষি যুক্তি বাদ দিয়ে এবার এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা ভাবুন। আমরা তো আবার সহজে বুঝি না, তাই বোঝার সুবিধার্থে দুটি উদাহরণ দিচ্ছি, যা আপনাদের মনে থাকার কথা
রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসী দলগুলো বিরোধিতা করেছিল এবং সেই বিরোধিতার কারণে মানুষ প্রাণও হারিয়েছিল। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে—প্রতিষ্ঠানগুলো পাহাড়ে স্থাপিত হওয়ার কারণে পাহাড়ি জনগণ কতটা উপকৃত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন পাহাড়ির কর্মসংস্থান হয়েছে, কতজন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে—হিসাব করলে যাঁরা সেই সময় বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে লজ্জিত হবেন।
আপনারা এখনও বুঝতে পারছেন না, এই রাস্তা তৈরির পর কত রকম সুযোগ-সুবিধা পাবে প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ জনগণ। এরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না, যার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের দোষারোপ করবে। সন্ত্রাসীদের চাপে নতি স্বীকার করে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না, প্লিজ।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।