লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে লংগদুতে গণমানববন্ধন

লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে লংগদুতে গণমানববন্ধন

লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে লংগদুতে গণমানববন্ধন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি—তিন উপজেলার বহুল প্রত্যাশিত সংযোগ সড়ক দ্রুত নির্মাণের দাবিতে গণমানববন্ধন করেছে লংগদু উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে লংগদু থেকে নানিয়ারচর হয়ে জেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের স্বপ্ন দেখছে পার্বত্যবাসী। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগে সেই স্বপ্নে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল মানুষ। কিন্তু সেই অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে সক্রিয় কিছু আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।

লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে লংগদুতে গণমানববন্ধন

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ২৬ মে নানিয়ারচরে একটি মহল ‘সড়ক চাই না’ দাবিতে মানববন্ধন করেছে, যা জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী। এর প্রতিবাদে এবং উন্নয়ন কাজে বাধা প্রতিহত করতে লংগদুবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছে।

তারা বলেন, লংগদু-নানিয়ারচর সড়ক নির্মাণ হলে শুধু জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই স্থাপন হবে না, বরং তিন উপজেলার মানুষের জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তাই কোনো বিলম্ব না করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই সড়ক দ্রুত সম্পন্ন করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে লংগদুতে গণমানববন্ধন

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন লংগদু প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবি এস মামুন এবং সঞ্চালনা করেন নুরুল ইসলাম সেলিম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নাছির উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমল হোসেন কমল, কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতা কলিং চাকমা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা সমন্বয়ক ইমাম হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।

সড়কটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে, রাঙামাটির ভৌগোলিক দূরত্ব যেমন কমবে, তেমনি পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।