ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের বিরোধিতা নাগরিক পরিষদের

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের বিরোধিতা নাগরিক পরিষদের

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের বিরোধিতা নাগরিক পরিষদের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০-এর প্রস্তাবিত সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা। আজ শনিবার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের কতিপয় উপদেষ্টা, সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐক্য কমিশনের মাধ্যমে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০’ সংশোধনের মাধ্যমে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তকে সংবিধান পরিপন্থী এবং দূরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে একচেটিয়া গোষ্ঠী প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা। তাদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ বৈচিত্র্য ও সমন্বয়ের বদলে সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় বিভাজন, বৈষম্য এবং অনিয়মের ভিত্তি তৈরি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিম, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহীম এবং মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোরশোদা আক্তার।

উল্লেখ্য, পার্বত্য অঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত ২০১০ সালের আইনটির কাঠামোতে পরিবর্তন আনার যে প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে, তা নিয়ে পাহাড়ি ও বাঙ্গালি উভয় পক্ষেই ইতোমধ্যে বিরোধ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।