সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত “হেডম্যান ও কারবারী সম্মেলন–২০২৫”-এ শান্তি প্রতিষ্ঠা, সশস্ত্র সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) উপজেলার বনযোগীছড়া এলাকায় আয়োজিত এই সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রাশেদ হাসান সেজান বলেন, “পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত ও বদ্ধপরিকর।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুনাময় চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মুশফাক আমিন চৌধুরী। এছাড়া জুরাছড়ি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ১১টি মৌজার হেডম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কারবারীগণ ও সরকারি কর্মকর্তারা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জোন অধিনায়ক তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখা ও সকল জাতিগোষ্ঠীর সমঅধিকারে উন্নয়ন নিশ্চিত করাই জুরাছড়ি জোনের মূল লক্ষ্য। তিনি হেডম্যান-কারবারীদের সেনাবাহিনীর টহল ও অপারেশন কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।

তিনি আরও সতর্ক করেন যে, সম্প্রতি কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি ভূয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

সম্মেলনে দুর্যোগপ্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। জোন অধিনায়ক বলেন, পাহাড়ি এলাকায় ভারী বর্ষণে ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকে, তাই সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে এবং বন্যা-দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী সবসময় পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী হেডম্যান ও কারবারীদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। আয়োজন করা হয় মেডিকেল ক্যাম্পেইন, রক্ত পরীক্ষা, বিশুদ্ধ পানির জন্য ট্যাবলেট ও প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রমও।

উল্লেখ্য, শান্তি-সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর এমন জনমুখী উদ্যোগ পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের মধ্যে আস্থা ও সহানুভূতির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সম্মেলনটি পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি কার্যকর উদাহরণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।