সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ সামাল দিতে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ঘোষণা

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ সামাল দিতে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ঘোষণা

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ সামাল দিতে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ঘোষণা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বেদুইন ও দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ থামাতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। সুওয়েইদা শহরের কাছাকাছি শুক্রবার (১৮ জুলাই) নতুনভাবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার খবরের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহনশীল হতে অনুরোধ করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

আল-শারার কার্যালয় থেকে সেনা মোতায়েন ঘোষণার কিছু আগে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, বেসামরিক দ্রুজদের রক্ষায় সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুওয়েইদায় সীমিত উপস্থিতি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল।

গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয়শ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ওই অঞ্চলে মোতায়েনকৃত সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা দ্রুজ গোষ্ঠীর সদস্যের হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত প্রাণদণ্ড কার্যকরের মতো অপরাধে জড়িত।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, যখন সুওয়েইদা থেকে সিরীয় বাহিনীকে পশ্চাদপসরণে বাধ্য করতে হামলা চালায় ইসরায়েল। দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে তুরস্কে দায়িত্বরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক শুক্রবার জানান, দামেস্ক ও তেল আবিব যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে। দ্রুজ, বেদুইন এবং সুন্নিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন অস্ত্র পরিত্যাগ করে দেশের সংখ্যালঘুসহ সব সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নতুন ও ঐক্যবদ্ধ সিরীয় পরিচয় গড়ে তোলে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইসরায়েল ও সিরিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েলের সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায় সুয়েইদার অন্যতম প্রধান গোষ্ঠী। তারা শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত এক রহস্যময় মতবাদ অনুসরণ করেন। বিদ্রোহীদের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই।

এদিকে, দামেস্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে দ্রুজদের প্রতি সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার টুর্ক জানান, সুওয়েইদায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তারা পেয়েছেন। এসব অপরাধে সরকারি বাহিনীর সদস্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুগত, এমনকি স্থানীয় দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর সদস্যদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

এক বিবৃতিতে টুর্ক বলেন, এই রক্তপাত ও সহিংসতা থামাতে হবে। দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং দ্রুজদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে আল-শারা দাবি করেন, আমাদের দ্রুজ নাগরিকদের ওপর দমনপীড়ন চালানো সবাইকে আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনবো। কেননা, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।