ড্রোন হামলার পর মিয়ানমার সফরে ভারতীয় শীর্ষ কর্মকর্তারা
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে। এই হামলা মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে সীমান্তের কাছে একটি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর’ ওপর চালানো হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে। এদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে একটি উচ্চ-স্তরের ভারতীয় সামরিক প্রতিনিধিদল নেপিডো সফর করেছেন।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফের ডেপুটি চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল শ্রীঞ্জয় প্রতাপ সিং-এর নেতৃত্বে ভারতীয় সামরিক প্রতিনিধিদল ডেপুটি জান্তা প্রধান সো উইনের সঙ্গে দেখা করেন। জান্তা মিডিয়া কেবল জানিয়েছে, তারা ‘আরও সামরিক সহযোগিতা, মিয়ানমারে ভূমিকম্প-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সহায়তা, সীমান্ত স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নে সহযোগিতার পরিকল্পনা, পাশাপাশি ডিসেম্বরে জান্তার প্রস্তাবিত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা’ করেছে।
ইরাবতি জানায়, গত রোববার নানুন এবং লাহে টাউনশিপে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট (উলফা-আই) ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আন্তঃসীমান্ত ড্রোন হামলায় তিন জন সিনিয়র কমান্ডারসহ পাঁচ জন সদস্য নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যটি উল্লেখ করেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া উলফা-আই এর মতে, ১০০টিরও বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সঙ্গে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে ভারতের। পাহাড়ি ভূখণ্ড থাকায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা সহজেই এপাশ থেকে ওপাশে যাতায়াত করতে পারে। প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগা, মণিপুরী এবং আসামের বিদ্রোহীরা বছরের পর বছর ধরে সাগাইংয়ে ঘাঁটি গড়ে আছে। সেখান থেকে তারা প্রায়শই ভারতীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং তারপর সীমান্তের ওপারে (মিয়ানমারে) ফিরে যায়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।