মানিকছড়িতে সেনা অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

মানিকছড়িতে সেনা অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

মানিকছড়িতে সেনা অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকায় সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনের টহল দল শনিবার ভোরে এক সফল অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনা টহলের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে, যাতে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

সেনাসূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত হয়। টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষ শেষে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, চাঁদা আদায়ের রশিদ এবং কয়েকটি মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করার খাতা উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে একই উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেল অপহরণ ও হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী সদস্য মংসানু মারমাকে শনিবার সেনাবাহিনীর আরেকটি অভিযানে আটক করা হয়েছে।

তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মংসানু হত্যার দায় স্বীকার করে। এছাড়া অভিযানে বাবু মারমা নামের আরেক সন্ত্রাসীকেও আটক করা হয়।

মানিকছড়িতে সেনা অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাতে ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ৭ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল নিখোঁজ হয়। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে প্রথমে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু ১৬ জুলাই গহীন অরণ্যের এক ঝিরি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সোহেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরবর্তী তদন্তে আরও চারজনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া মংসানু মারমা ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী।

এ বিষয়ে মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, “মাদ্রাসাছাত্র সোহেল অপহরণ-পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমাসহ সাতজনকে যৌথবাহিনীর যৌথ অভিযানে আটক করা সম্ভব হয়েছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।”

প্রসঙ্গত, পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি সুস্পষ্ট বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।