আসামে ১০ লাখ একর জমি দখলে অবৈধ বাংলাদেশিরা, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত’র
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আবারও দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ একর জমি ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও সন্দেহভাজন নাগরিকদের দখলে রয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) আসামের দরং জেলার গোরুখুটি বহুমুখী কৃষি প্রকল্পের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা শপথ নিয়েছি—প্রতি ইঞ্চি জমি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করব, যেই হোক না কেন। সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের থেকেও।” তিনি আরও বলেন, “আসামের জমি আমাদের মাতৃভূমির সম্পদ, তা দখল করে থাকার অধিকার কোনো বহিরাগতদের নেই।”
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, ২০২১ সালে গোরুখুতিতে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে ৭৭ হাজার ৪২০ বিঘা জমি (প্রায় ২৫,৫০০ একর) পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। ওই অভিযানে পুলিশের গুলিতে একজন শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু ঘটে, যা দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়।
তিনি দাবি করেন, “গোরুখুতি অভিযানের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অনুরূপ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১.২৯ লাখ বিঘা (৪৩,০০০ একর) জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যা মূলত বনায়নের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
আসামের মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, ওই সময় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার জন্য ‘আন্তর্জাতিক চাপ’ ছিল ভারতের উপর। তবে তাতে সাড়া না দিয়ে রাজ্য সরকার তাদের অবস্থানে অনড় ছিল বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আসাম সরকার দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ চিহ্নিতকরণ ও বিতাড়নের নামে একের পর এক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ—এই অভিযানগুলোর লক্ষ্যবস্তু মূলত মুসলিম সম্প্রদায়, যাদের অনেকেই বহু প্রজন্ম ধরে আসামে বসবাস করছেন।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।