পার্বত্য চট্টগ্রামে শাস্তিমূলক বদলি বন্ধের দাবি ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির
![]()
নিউজ ডেস্ক
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাদের শাস্তিমূলকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়—এমন প্রবণতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতি। ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ ধরনের বদলিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি অবজ্ঞা এবং অসম্মান বলে অভিহিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। পাশাপাশি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত দিক থেকে পিছিয়ে থাকা একটি বিশেষ এলাকা, যেখানে ৩টি জেলায় বহু জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলকে প্রশাসনের অভিযুক্ত ও অযোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়নের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সংগঠনের সভাপতি এ এইচ এম ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিতায়ন চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “অসৎ ও অযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয়ারণ্য কেন হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম? এটি যেন অপরাধী ও অযোগ্যদের পুনর্বাসন কেন্দ্র না হয়।” তারা অভিযোগ করেন, এসব কর্মকর্তাকে পাহাড়ে পাঠানোর মাধ্যমে এই অঞ্চলকে পরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে, যা প্রকারান্তরে পার্বত্য জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান খানকে সম্প্রতি বান্দরবানে বদলি করা হয়েছে। এ বদলির প্রজ্ঞাপন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগেও অনেক অপরাধী কর্মকর্তা-কর্মচারীকেই শাস্তিস্বরূপ পার্বত্য এলাকায় বদলি করা হয়েছে।
সংগঠনটি সরকারকে আহ্বান জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরণের পদায়ন থেকে বিরত থাকতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়নের মাধ্যমে সরকারি সেবার মানোন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে পাহাড়ে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি ভবিষ্যতে আবারও অপরাধে অভিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে শাস্তিস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়, তবে পার্বত্যবাসী কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতি এ অবস্থানকে পার্বত্য জনগণের মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের অংশ বলেও উল্লেখ করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।