আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি, খেলাধুলায় সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে: সেনাপ্রধান
![]()
নিউজ ডেস্ক
ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) “৬ষ্ঠ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫”-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের আয়োজনে এবং আরএফএল ও এসিআই-এর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি।
চার দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশসহ ইরান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা অংশ নেন। এ বছর পুরুষদের Professional Squash Association (PSA) চ্যালেঞ্জ ট্যুর ২০২৫ এবং নারীদের World Squash Federation (WSF) ও PSA স্যাটেলাইট টুর্নামেন্ট ২০২৫—এই দুটি ইভেন্ট একযোগে অনুষ্ঠিত হয়, যা আয়োজনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান। বক্তব্যে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশে স্কোয়াশ খেলাটিকে নতুন প্রাণ ও গতি দেওয়ার এই প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর খেলোয়াড়দের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনকে সেনাবাহিনী সহায়তা করে যাবে ইন-শা-আল্লাহ।”
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, জিওসি লজিস্টিকস এরিয়া, স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি ও দেশি খেলোয়াড়, ক্রীড়াসংগঠক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ স্কোয়াশ
বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, “আন্তর্জাতিক এ অংশগ্রহণ আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে PSA এবং WSF র্যাংকিংভুক্ত খেলোয়াড় তৈরির প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে।”
এ আয়োজনকে ঘিরে আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানের রেফারি, কোচ এবং অবজারভারও অংশ নিয়েছেন, যা আয়োজনের মান বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগিতার ধারাবাহিক আয়োজন ক্রীড়াঙ্গনে পেশাদারিত্ব ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর একটি আশাব্যঞ্জক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় এ খেলার বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন খেলোয়াড় ও সংগঠকেরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।