রাঙামাটিতে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পিসিসিপির মানববন্ধন
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটি শহরের বনরুপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী ও পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো ‘আদিবাসী’ নেই; পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এ ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন করেছে। তারা ভূমির আদি সন্তান নয়, বরং ঐতিহাসিকভাবে বার্মা, ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও চীনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে। বক্তাদের দাবি, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে “জুম্মল্যান্ড” নামে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে।
পিসিসিপি নেতারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত আদিবাসিন্দা বাঙালিরা; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ‘আদিবাসী’ দাবি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই সচেতন নাগরিকদের আহ্বান জানানো হয়—কেউ যেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ বলে সম্বোধন না করেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচির জন্ম দিচ্ছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।