নেপালে অস্থিরতা: আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের উচ্চ সতর্কতা জারি

নেপালে অস্থিরতা: আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের উচ্চ সতর্কতা জারি

নেপালে অস্থিরতা: আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের উচ্চ সতর্কতা জারি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

নেপালের ‘জেন জি’-এর নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর উত্তর প্রদেশের ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

উত্তর প্রদেশের দেবীপাটন অঞ্চলের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) অমিত পাঠাক জানিয়েছেন, সীমান্তের আশেপাশে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের ৯৮.৫ কিলোমিটার বাহরাইচ, ৫১ কিলোমিটার শ্রাবস্তী এবং ৯৪.৫ কিলোমিটার বলরামপুর জেলার মোট ২৪৩টি উন্মুক্ত সীমান্তের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নেপাল থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি), সিভিল পুলিশ এবং গোয়েন্দা দলের যৌথ টহলের পাশাপাশি চিরুনি ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তবে বলরামপুর-বাধনি এবং বলরামপুর-কয়লাবাসা সড়কপথ জেলার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। এটি নেপাল সীমান্তের সমান্তরালে গ্যাসদি, জারওয়া, লালিয়া, তুলসীপুর এবং হারিয়াসহ পাঁচটি থানা এলাকার মধ্য দিয়ে যায়। আনন্দনগর-বার্নী এবং গোন্ডা-বার্নী রেলপথ অংশগুলো নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত চালু রয়েছে।

আইজি পাঠাক বলেন, সীমান্তে যাতায়াতকারী প্রতিটি ব্যক্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই আসতে বা যেতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) এবং সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) জওয়ানদের সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ট্রেনে সন্দেহজনক যাত্রীদের নিবিড় তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, বোরকা পরা নারীদের পরিচয় যাচাই করার জন্য বিশেষ নারী পুলিশের দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও

অন্যদিকে ধর্মশালা, মসজিদ, হোটেল, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বহিরাগতদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নেপালে ফেসবুক, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া শন্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ভয়বহ সহিংসতায় রুপ নিয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী।

বিক্ষোভ দমনে কাঠমাণ্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ এবং বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed