মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসছে ভয়ঙ্কর অস্ত্র, আতঙ্কে সীমান্তবাসী
![]()
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের অরক্ষিত পাহাড়ি ও নদীপথ দিয়ে নিয়মিতভাবে ঢুকছে মাদক ও অস্ত্র। সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অস্ত্র চোরাচালান বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বিজিবি ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, একে–৪৭, জি–থ্রি রাইফেলসহ বিভিন্ন বিদেশি অস্ত্র নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের চোরাপথ হয়ে দেশে প্রবেশ করছে। এসব অস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো স্থানীয় চক্রের সহায়তায় সরাসরি ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এসব অস্ত্রই তাদের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে দুই শতাধিক মানুষের। রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর অন্তত ৯টি হত্যাকাণ্ডে এসব অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ঢুকে সরাসরি ক্যাম্পে চলে যায়। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
বিজিবির হিসাব অনুযায়ী, গত তিন মাসে অন্তত ২২টি দেশি-বিদেশি অস্ত্রের চালান আটক করা হয়েছে। এতে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর দৌরাত্ম্যে তারা সবসময় ভয়ে থাকেন। তাদের ভাষায়, “বাংলাদেশিদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এখন প্রধান ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
৮ এপিবিএনের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পুলিশ সুপার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, অস্ত্রবাজি বা সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না। এপিবিএন কঠোর অবস্থানে আছে এবং অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত পথে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা গুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।