কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আসন্ন কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উৎসব চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সম্ভাব্য যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিরোধে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রাঙামাটি রিজিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় সভায় রিজিয়ন কমান্ডার কঠিন চীবর দান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণ করেন।

সভায় রাজবন বিহার ও পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধি দল, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রিজিয়ন কমান্ডার বলেন— “রাঙামাটি সবসময় পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহাবস্থানের উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছে। এই ঐতিহ্য বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সবসময় সচেষ্ট এবং ভবিষ্যতেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “কঠিন চীবর দান শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষদের মাঝে ঐক্য, শান্তি ও মানবিকতার প্রতীক। তাই এই আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।”

কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সভায় উৎসবকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রাজবন বিহারের প্রবেশপথে অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন, প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত রাখা, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সেনা সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি পর্যটক ও ভক্তদের জন্য প্রবেশ ও প্রস্থানপথে দিকনির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড ও প্যানাফ্লেক্স স্থাপন করা হবে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাজবন বিহার এলাকা ও আশপাশে নিয়মিত টহল এবং রাত্রিকালীন নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে। উৎসব চলাকালীন সময়ে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বিশেষ কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

রিজিয়ন সদর সূত্রে জানা যায়, উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটি শহরে আগত ভক্ত, পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন— “প্রতি বছর কঠিন চীবর দান উপলক্ষে হাজারো মানুষ রাঙামাটিতে সমবেত হন। সেনাবাহিনীর সমন্বিত ও সতর্ক ভূমিকার কারণে বিগত বছরগুলোতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।”

রিজিয়ন কমান্ডার উপস্থিত সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন— “রাঙামাটির এই শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ ধরে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।”

উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা তৎপরতায় শহরের ভক্ত ও দর্শনার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।