সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগে বেঁচে গেলেন সাপের কামড়ে আহত ত্রিপুরা কৃষক

সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগে বেঁচে গেলেন সাপের কামড়ে আহত ত্রিপুরা কৃষক

সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগে বেঁচে গেলেন সাপের কামড়ে আহত ত্রিপুরা কৃষক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামে আবারও এক সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি জোনের তৎপরতায় সাপের কামড়ে গুরুতর আহত এক ব্যক্তির জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

গত ৮ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে গুইমারার ৩ নম্বর সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের মহাজন কারবারি পাড়ার বাসিন্দা জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরা (৫৮) ফসলের ক্ষেত থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিষধর “গ্রিন ভাইপার” সাপের কামড়ে গুরুতর আহত হন।

পরিবারের সদস্যরা খবরটি স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানালে তারা সঙ্গে সঙ্গে সিন্দুকছড়ি জোনকে অবহিত করেন। খবর পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনীর একটি টহল দল জোন অধিনায়কের নির্দেশে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিজস্ব অর্থায়নে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাঁকে দ্রুত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত।

সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃপক্ষ জানায়,

“সেনাবাহিনী সব সময় পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে আছে। কোনো সংকটে পাহাড়ি বা বাঙালি— কারো পার্থক্য নেই। শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি এবং থাকব।”

সেনাবাহিনীর এই দ্রুত ও মানবিক পদক্ষেপে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বলেন, সেনাবাহিনীর সময়মতো হস্তক্ষেপ না পেলে জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরার প্রাণ রক্ষা সম্ভব হতো না। তারা সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।