কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি: সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন সকল যাত্রী

কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি: সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন সকল যাত্রী

কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি: সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন সকল যাত্রী
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবির ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন নয়জন যাত্রী। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা সদরের দুর্গম জীবতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সময়মতো সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান শুরু না হলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জীবতলী থেকে যাত্রা শুরু করা নয়জন যাত্রীবাহী একটি বেসামরিক নৌকা হ্রদের মাঝপথে পৌঁছালে যাত্রীরা হঠাৎ একপাশে চলে যান। এতে নৌকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মুহূর্তের মধ্যে এটি উল্টে যায় এবং যাত্রীরা পানিতে পড়ে যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাছাকাছি অবস্থানরত সেনাবাহিনীর একটি টহলদল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতা ও মানবিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করে পানিতে পড়া সকল যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। তাদের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উদ্ধার শেষে সেনাবাহিনী যাত্রীদের চিকিৎসা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে এবং ডুবে যাওয়া নৌকাটিকেও নিরাপদ স্থানে টেনে তোলে।

পরবর্তীতে স্থানীয় নৌযানের সহায়তায় নৌকাটি মেরামতের জন্য জীবতলী ঘাটে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এই তৎপরতার প্রশংসা করে বলেন, “দুর্ঘটনার পর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পড়েন। তারা না এলে আজ হয়তো ভয়াবহ কিছু ঘটত।”

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, “পার্বত্য অঞ্চলে যে কোনো দুর্ঘটনা বা সংকট মুহূর্তে সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে। দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব।”

এছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় নৌযান চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যাত্রীদের নৌকায় ওঠানামার সময় ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদ পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তম জলাশয়, যেখানে প্রতিদিন শত শত নৌযান চলাচল করে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করায় দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম আরও দ্রুত ও কার্যকর হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।