পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সম্প্রীতির বন্ধনই শান্তির ভিত্তি: ধর্ম উপদেষ্টা
![]()
নিউজ ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “আমরা সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এই দেশেই থাকবো। আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই— পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থানই আমাদের শক্তি।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা দায়িত্ব শেষ করব। সেফ এক্সিট বলতে আমি কিছু বুঝি না। আমার কোনো দ্বিতীয় ঠিকানা নেই— আমি এই দেশের মানুষ, এখানেই থাকবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশ একটি গণতান্ত্রিক ও সেকুলার রাষ্ট্র। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান— সবাই সমান অধিকারভুক্ত নাগরিক। আমি যেমন মসজিদে যাই, তেমনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে মন্দির, চার্চ ও বিহারেও যাই। এটি আমার দায়িত্ব, কারণ আমি সব ধর্মের উপদেষ্টা।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “এই অঞ্চলে বহু ধর্ম, সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একসাথে বসবাস করছে। এখানকার বৈচিত্র্যই বাংলাদেশের শক্তি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।”
তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও সামাজিক বিভেদ যেখানেই থাকুক, তা দূর করতে হবে। কাউকে বঞ্চিত করা ইসলাম সমর্থন করে না, মানবতাও করে না। উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্প্রীতি— তাই এই বন্ধনই আমাদের রক্ষা করতে হবে।”
‘সম্প্রীতি সমাবেশ’-এ সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ মারুফ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, বিহার ও চার্চের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভেদ নয়, ঐক্য ও সহাবস্থানই হতে পারে পাহাড়ের টেকসই শান্তির পথ।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।