ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিলের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে হরতালের ডাক

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিলের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে হরতালের ডাক

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিলের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে হরতালের ডাক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ১৯ অক্টোবরের বৈঠক বাতিলের দাবিতে হরতালের ডাক দিয়েছে ‘রাঙ্গামাটির সচেতন ছাত্র-জনতা’। পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল না হলে ওই দিন হরতাল পালনসহ রাঙ্গামাটিজুড়ে ছাত্র-জনতাকে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটির একটি রেস্তোঁরায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

মূলত আগামী ১৯ অক্টোবর রাঙ্গামাটিতে চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি জটিলতা নিরসনে কাজ করছে এ কমিশন। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) দাবি করে আসছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ নামে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে; সেখানে পার্বত্য বাঙালীদের কোনো প্রতিনিধি নেই। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠককে ঘিরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এর মধ্যে ছাত্র-জনতার পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের (পিসিসিপি) আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না করে ভূমি কমিশনের বৈঠক করার চেষ্টা করা হলে তা রাঙ্গামাটির শান্তিপ্রিয় জনতাকে নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

বক্তারা আরও বলেন,  রাঙ্গামাটির বৈঠক স্থান পরিবর্তন কওে সুকৌশলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলায়ও এ কমিশন বৈঠক করতে চাইলে সেইসব জেলাও একই কর্মসূচি দেওয়া হবে। আট দফা দাবি পূরণ করা হলে সব প্রকার কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।

সংগঠনটির দেওয়া আট দফা দাবিগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে, কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের ভূমি কমিশন আইন অনুযায়ী বলবৎ করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত, অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. নুর হোসেন,  পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ  রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশারফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ন কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।