মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে দুই অভিযুক্ত ত্রিপুরা যুবক গ্রেপ্তার
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১৪ বছরের এক এক পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুই ত্রিপুরা যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলো— রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৭)। এ ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত সুমন বিকাশ ত্রিপুরা (১৮) ও রিমন ত্রিপুরা (২২) এখনও পলাতক রয়েছে।
আটককৃত রনি বিকাশ ত্রিপুরা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের হেমন্ত হেডম্যান পাড়ার অরুন বিকাশ রোয়াজার ছেলে এবং ডেটল বাবু ত্রিপুরা গোমতি ইউনিয়নের উদয় কুমার পাড়ার আনি রঞ্জন ত্রিপুরা ছেলে।
এছাড়া পলাতক সুমন বিকাশ ত্রিপুরা উদয় কুমার পাড়ার যুদ্ধ কুমার ত্রিপুরার ছেলে ও রিমন ত্রিপুরা একই এলাকার হেয়াসা ত্রিপুরার ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি সড়র উপজেলার পেরাছড়াস্থ ধর্মঘর বড় পাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী তার আত্মীয়ের সঙ্গে স্থানীয় অযোধ্যা কালী মন্দিরে পূজা দেখতে যায়। ওই সময় চারজন স্থানীয় যুবক কিশোরীকে কথাবার্তার ছলে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

পরদিন ঘটনাটি গোপনে আপস-মীমাংসার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে না গিয়ে স্থানীয়দের নজরে আসলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে। বুধবার বিকেলে দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ভিকটিম ও আটককৃত দুই আসামিকে থানায় আনা হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্নের পর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করছে। পলাতক দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।”
অযোধ্যা এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কয়েকজন তরুণের বখে যাওয়া প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা মনে করেন, এই ঘটনার দ্রুত বিচার না হলে এ ধরনের অপরাধ বাড়তে পারে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কিশোরীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাহাড়ি অঞ্চলে নারী ও কিশোরীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ও সামাজিক সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথার নামে “আপস-মীমাংসা” সংস্কৃতি বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।