লক্ষীছড়িতে সড়ক অবরোধর মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা ইউপিডিএফের
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়িতে নিজেদের সশস্ত্র তৎপরতা টিকিয়ে রাখতে এবার নিরাপত্তা বাহিনীর টহল কার্যক্রম ব্যাহত করা ষড়যন্ত্র করছে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ।
উপজেলার সংগঠনটি বার্মাছড়ি মুখ এলাকায় একটি সশস্ত্র সমাবেশ নির্বিঘ্নে আয়োজন করে সেখানে যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছাতে না পারে, সেজন্য সড়ক অবরোধ করে চলাচল বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা করেছিল সন্ত্রাসীরা।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোনের আওতাধীন বার্মাছড়ি মুখ পাড়া এলাকায় সম্প্রতি ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যরা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল—অস্ত্র ও সদস্য জড়ো করছিল। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনের লক্ষে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল জোরদার করেছে।
নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখা, সশস্ত্র তৎপরতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। গত কয়েকদিন ধরেই ইউপিডিএফ তাদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনী কর্তৃক বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে ক্যাম্প নির্মান করার অপতথ্য ছড়ায়। আর এরই অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ-সমর্থিত সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ক্যামেরন দেওয়ানের নেতৃত্বে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বার্মাছড়ি বাজারে সশস্ত্র “বিক্ষোভ কর্মসূচি”র ঘোষণা দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ওই কর্মসূচীকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষে গতরাত থেকেই ইউপিডিএফ কর্তৃক বার্মাছড়ি প্রবেশের বিভিন্ন সড়কে গাছ কেটে ও সারারাত ধরে সড়কের মাটি কেটে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যেকোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানের অংশ হিসেবে আজ সেনাবাহিনীর তিনটি টহল দল বার্মাছড়ি মুখে মোতায়েন করা হয়। এদিন সকালে খিরাম থেকে বার্মাছড়ি মুখ বাজারগামী সড়কে সেনা সদস্যরা দেখতে পান প্রায় ১০–১২ স্থানে বাঁশ, গাছ ও বড় গর্তের মাধ্যমে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু স্থানে বড় আকারের গর্ত তৈরি করে সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
বার্মাছড়িতে সেনা ক্যাম্প নির্মাণের গুজব: ইউপিডিএফের উসকানিমূলক প্রচারণা
ধারণা করা হচ্ছে, ইউপিডিএফ উক্ত সশস্ত্র সমাবেশ নির্বিঘ্নে পরিচালনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চলাচল বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অবরোধ সৃষ্টি করেছে এবং রাতভর সড়কে এ ববর্বরতা চালিয়েছে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত সড়ক যোগাযোগ সচল করতে এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। স্থানীয় জনগণ দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে বাঁশ, গাছ ও গর্ত অপসারণ করে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। ফলে এলাকার যাতায়াত স্বাভাবিক হয় এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ইউপিডিএফের এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় তৎক্ষণাৎ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বার্মাছড়ি মুখ ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা সতর্কতা অবলম্বন করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছে। তারা সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।